১২ জানুয়ারি ২০২৩খ্রি. তারিখ সকাল অনুমান ০৮.২০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৪, সিপিএসসি, টিটিসি, ময়মনসিংহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট জেলার শাহপরান থানা এলাকা হতে জাকির হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ খোরশেদ আলম (২৫), পিতা- মোঃ সেকান্দার আলী, সাং- কেয়ার ছানা, থানা- ফুলবাড়ীয়া, জেলা- ময়মনসিংহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বাহির খোলা গ্রামে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ খোরশেদ আলম জনৈক সবুজ মোল্লার পোল্ট্রি র্ফামে কাজ করাকালীন একই গ্রামের আব্দুল হকের স্ত্রীর সাথে আসামী মোঃ খোরশেদ আলমের পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি আব্দুল হকের ছেলে জাকির (১২) জেনে ফেলায় আসামী খোরশেদ গত ০৩ মার্চ ২০১২খ্রি. ভোর অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকায় সময় গলায় গামছা পেচিয়ে জাকিরকে হত্যা করে লাশ ভিকটিমের বসতবাড়ির পিছনে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। এ বিষয়ে ভিকটিমের পিতা আব্দুল হক খোরশেদকে বিবাদী করে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মানিকগঞ্জ থানার মামলা নং- ০৭(০৩)১২, জিআর নং- ৬৩/১২, ধারাঃ ৩০২/৩৪। পরবর্তীতে এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মানিকগঞ্জ গত ০২/১১/২০২২খ্রি. তারিখে আসামী মোঃ খোরশেদ আলম (২৫) এর বিরুদ্ধে দঃ বিঃ ৩০২ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে প্রসিকিউশনপক্ষের আনীত ঞযব চবহধষ ঈড়ফব ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে উক্ত ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ০৩ (তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ খোরশেদ আলম (২৫) দীর্ঘ ১২ (বারো) বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের পরিচয় গোপন করে গাঁ ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিল।