পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে ময়মনসিংহ সদর ভূমি অফিসে দৈনিক উর্মিবাংলা প্রতিদিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল হাকিম অবস্থান কালে একই অফিসের স্টাফ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ভূমি জমাখারিজের নামে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা দফারফা করে টাকাসহ কাগজপত্র নেয়ার সময় সাংবাদিকের দৃষ্টি গোচর হওয়ায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন শ্রেণীর কর্মচারী নন্দকিশোর। সাংবাদিক বিষয়টি জানতে চাইলে নন্দ কিশোর তার সাথে অশালিন আচারন করে, এক পর্যায়ে মারমূখো হয়। এসময় উপস্থিত জনতা তাকে থামিয়ে অফিসের ভিতরে নিয়ে যায়। এহেন আচারনে সাংবাদিক আব্দুল হাকিম ঘটনাটি সহকারি ভূমি কমিশনার এ এম ইবনে মিজানকে জানান। তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে ১লা ফেব্রুয়ারী জানালেও ৪ দিনেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ময়মনসিংহ সদর ভূমি অফিসে দালালের সংখা নেহাত কম নয়। এসকল দালালরা মূলত ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কতিপয় কর্মচারীর হাত ধরেই অফিসে যাতায়ত করে। আর জমাখারিজ আবেদনকারীরা দালাল ও উক্ত কর্মচারীদের আশ্বাসে পড়ে মাসের পর মাস হয়রানির শিকার হয়। সদর ভূমি অফিসে নন্দ কিশোরের সাথে দালালদের তৎপরতা দেখে অবাক হয় আব্দুল হাকিম। জমাখারিজের নামে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে পনর হাজার টাকা ও কাগজ পত্র নেয়ার পর ঘটনা জানতে চাওয়া ছিল আব্দুল হাকিমের অপরাধ। এসময় তেলে বেগুনে জ্বলে যায় নন্দ কিশোর। সে সাংবাদিকের সাথে অশালিন আচারন করেন এক পর্যায়ে মারার জন্য উদ্যত্তপূর্ণ আচারন করেন।
আরো কিছু জানার জন্য সাংবাদিক সদর উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে দেখেন একজন বয়স্ক লোক এসিল্যান্ড অফিসের এক স্টাফের ব্যাপারে উচ্চস্বরে গালমন্দ করছে। তিনি গালমন্দ করতে নিষেধ করলে উনি চুপ হয়ে যান। সাংবাদিক বলেন আপনার কোন সমস্যা থাকলে এসিল্যান্ড কে জানান। উনাকে নিয়ে যাওয়ার আগেই এসিল্যান্ড সাহেব উনাকে ডাকেন সাংবাদিক সঙ্গে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নন্দকিশোর গোয়ালা যেতে বাধা দেন এবং বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। এ ব্যপারে এসিল্যান্ডকে ঘটনা জানালে,এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে জানান।