ময়মনসিংহে শিশু ইমরান মিয়ার হত্যার বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। সোমবার সকালে নগরীর শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করে। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতিবেশীর বাড়ির উঠানে খেলা করা নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় ইমরানকে গলায় চাপ দিয়ে উপরে তুলে সজোরে মাটিতে আছাড় মেরে ও পিঠে এলোপাতাড়িভাবে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে আসামিরা। ঘটনার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ৩ নাম্বার আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক ছাড়া আর কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগীদের মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে। নিহতের স্বজনদের দাবি বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং অবিলম্বে তাদের ফাঁসির আদেশ দেয়া হোক। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- নিহতের বাবা মোঃ সবুজ মিয়া, মাতা নাছিমা খাতুন, বড় বোন বৃষ্টি ও খাদিজা, দাদা মোঃ ওসমান ও হাইজুল মিয়া, চাচা মোঃ রনি, মোঃ লিটন, মোঃ রেনু মিয়া, মোঃ কেনু মিয়া, চাচী মোছা. মুক্তাসহ প্রমুখ। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের নান্দাইলে বাড়ির সামনে খেলাধুলা করার সময় এক শিশুকে মাথার ওপরে তোলে মাটিতে আছাড় দেয় শাওন নামে এক যুবক। এরআগে প্রতিবেশি শিশুদের সাথে ইমরান মিয়া একই এলাকার শফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে খেলাধুলা করছিল। বাড়ির সামনে খেলাধুলা করার জন্য শফিকুলের ছেলে মো. শাওন মিয়া (১৮) শিশুদের তাড়িয়ে দেয়। অন্য শিশুরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে পারলেও ইমরানকে ধরে ফেলেন শাওন মিয়া। পরে তাকে মাথার ওপরে তোলে মাটিতে আছড়ে ফেলেন। এতে শিশুটি গুরুতরভাবে আহত ও অচেতন হয়ে পড়ে। পরে স্বজনরা শিশুটিকে বিভিন্নস্থানে নিয়ে চিকিৎসা করালেও সে পুরোপুরি সুস্থ হয়না। পরে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নান্দাইল শহরে এনে একজন চিকিৎসককে দেখানো হয়। পরে শিশুটির অবনতি হলে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়। নিহত শিশু ইমরান মিয়া (৯) নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের বিলভাদেরা গ্রামের মোঃ সবুজ মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার পর থেকে আসামি শাওন ও তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।