সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার চাঞ্চল্যকর বাকপ্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মোঃ আমিরুল ইসলাম গাজী (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে, র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ” ।
গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৩খ্রি. তারিখে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার চাঞ্চল্যকর বাকপ্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের সংবাদ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। উক্ত সংবাদ পাওয়ার পরপরই র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস দল আসামী গ্রেফতারে জোর তৎপরতা শুরু করে।
পরবর্তীতে র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে পলাতক আসামীর সুনির্দিষ্ট অবস্থান নির্নয়ের ভিত্তিতে অদ্য ইং ০৮ ফেব্রুয়ারি-২০২৩খ্রি. তারিখ রাত অনুমান ২০.১৫ ঘটিকার সময় ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানা এলাকা হতে বাকপ্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী ১। মোঃ আমিরুল ইসলাম গাজী (৩৮), পিতা- মোঃ দাউদ গাজী, সাং- খাজরা, থানা- আশাশুনি, জেলা- সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৪। উল্লেখ্য, মামলার এজাহার পর্যালোচনা মাধ্যমে জানা যায় গত ১৯/০১/২০২৩খ্রি. সময় অনুমান ০৯.০০ ঘটিকায় ভিকটিম বাকপ্রতিবন্ধী (৩৫), তাহাদের মৎস্য ঘের পাহাড়া দেওয়ার জন্য ঘেরের বাসায় শুয়েছিলো, উক্ত সময়ে গ্রেফতারৃকত আসামী ভিকটিমের মৎস্য ঘিরের বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভিকটিমকে জাপটে ধরে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তখন ভিকটিমের ঘোংরানোর শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে তখন বাকপ্রতিবন্ধী ভিকটিম তাহার অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করে এবং ঘটনার পরদিন আসামী মোটরসাইকেল চালাইয়া যাওয়ার সময় ভিকটিম অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আসামীকে সনাক্ত করে। উক্ত ঘটনাটি আশপাশের এলাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক চঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে ভিকটিমের মা মজিদা বিবি বাদী হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে আশাশুনি থানা একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যাহা আশাশুনি থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-২৪/০১/২০২৩খ্রি. ধারা- নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯ (১)।
ধৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।