স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহের তারাকান্দার বালিখা মধ্যপাড়ার গোলাপ হোসেন হত্যাকান্ডের মুলহোতা হারুন অর রশিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাকে জেলা সদরের ভাবখালি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হারুন আদালতে স্বিকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে।
তারাকান্দার ওসি আবুল খায়ের জানান, গত ২১ জানুয়ারি রাতে নিজ মালিকানাধীন সেচ পাম্প থেকে নিজের জমিতে পানি দিতে গিয়ে খুন হন। খবর পেয়ে তারাকান্দা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেন। হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্তার অভিযোগে পুলিশ ঐ রাতেই জহিরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম ও মোখছেদুল ইসলাম নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে শারমীন আক্তার বাদি হয়ে তারাকান্দা থানায় মামলা করেন। যার নং ১৫(১)২৩। তবে গ্রেফতারকৃত তিনজনকে পুলিশ ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠায়। হত্যাকান্ডের পর থেকে ঘটনার মুলহোতা হারুন পলাতক ছিল। পলাতক হারুনকে গ্রেফতারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে দীর্ধ একমাস পর রবিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেখানো মতে হত্যায় ব্যবহৃত বাশের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি আরো বলেন, তাকে আদালতে পাঠানো হলে হারুন স্বিকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেয়। হারুনের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি আবুল খায়ের বলেন, ধান ক্ষেতে পানি দেয়া নিয়ে ঝগড়ার কারণে ক্ষিপ্ত হারুন একাই তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। তবে এ নিয়ে তদন্ত চলছে।
গোলাপ হোসেন হত্যাকান্ড সম্পর্কে মামলার বাদি বলেন, নিহত গোলাপ হোসেনের সাথে বালিখা মধ্যপাড়ার জালিম উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ হারুনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। হত্যাকান্ডের কয়েকদিন আগে গোলাপ হোসেনের জমির (ক্ষেত) আইল (বাতর) কেটে ফেলে ঐ হারুন অর রশিদ। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হারুন জমির মালিক গোলাপ হোসেনকে মারধরসহ খুনের হুমকি দেয়। ঘটনার রাতে গোলাপ হোসেন তার সেচ পাম্প থেকে জমিতে পানি দিতে গেলে একা পেয়ে হারুন ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গোলাপকে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। মামলায় বাদি হারুন, জহিরুল, আশরাফুল, মোখছেদুল, আবু রায়হান, আব্দুর রাজ্জাক ও আজিজুল হককে অভিযুক্ত করেন।