গত ০১ লা মার্চ রোজ বুধবার সকাল অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ১০ নং দাপুনিয়া ইউনিয়নস্থ গোষ্টা পশ্চিমপাড়া সাকিনে নলকুড়িয়া বিলে জনৈক শফিকুল ইসলাম এর ধান ক্ষেতের পাশে অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ পড়িয়া থাকার সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার পূর্বক নাম-ঠিকানা সনাক্ত করে। সনাক্তকালে তাহার নাম- মৃত মৌসুমী আক্তার (২৫), পিতা- মোঃ আমান উল্লাহ, মাতা-মোছা: হামিদা খাতুন, সাং-চরকালীবাজাইল, থানা-ফুলবাড়ীয়া, জেলা-ময়মনসিংহ বলিয়া জানা যায়।
উক্ত ঘটনায় মৃতের বড় বোন মোছাঃ আয়েশা আক্তার ওরফে শাহনাজ (৪০), স্বামী- মো: আব্দুল হান্নান, পিতা-মো:আমান উল্লাহ, মাতা-মোছাঃ হামিদা খাতুন, সাং-চরকালীবাজাইল, থানা-ফুলবাড়ীয়া, জেলা- ময়মনসিংহ বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করিলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ১১(ক)/৩০ ধারায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়। মামলাটি তদন্তকালে জানা যায় যে, মামলার আসামী সুজন হাসান (২৭), পিতা- এছাহাক আলী, সাং- সৈয়দগ্রাম (পূর্বপাড়া), থানা- মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহ, বর্তমানে পুলিশ কনস্টেবল পদে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত আছে। ২০১৮ সালে উক্ত আসামী সুজন ভিকটিম মৌসুমী আক্তারকে বিবাহ করেন। বিবাহের পর হইতেই যৌতুক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাহাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল। এতে করে আসামীর স্ত্রী ২০১৯ সালে আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। উক্ত মামলার আসামী দুই মাস হাজত বাস করেন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে মীমাংসা হলে বাদী মামলা তুলে নেয়। এরপর আবার যৌতুকের বিষয় নিয়া পুনরায় তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইং২৮/০২/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ৭টা ৩০ঘটিকার সময় আসামী তাহার শ্বশুরবাড়িতে যায়। উক্ত আসামী কৌশলে মৃত মৌসুমীকে কোতোয়ালী থানাধীন ১০নং দাপুনিয়া ইউনিয়নস্থ গোষ্টা পশ্চিমপাড়া সাকিনে নলকুড়িয়া বিলে জনৈক শফিকুল ইসলাম এর ধানক্ষেতের পাশে একই তারিখ রাত অনুমান ২০:৩০ ঘটিকার সময় আসামী তাহার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করিয়া হত্যা করে ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে রাখিয়া চলিয়া যায়। উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করাকালে তাহার নিকট হইতে কর্দমাক্ত জ্যাকেট উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) নিরুপম নাগের নেতৃত্বে, কনস্টেবল মিজানুর রহমান, কনস্টেবল জোবায়েদ অভিযান পরিচালনা করিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত আসামী সুজন হাসান (২৭), পিতা- এছাহাক আলী, সাং- সৈয়দগ্রাম (পূর্বপাড়া), থানা- মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানা- পুলিশ কনস্টেবল, পুলিশ লাইন্স, নারায়ণগঞ্জকে অদ্য ইং ০২/০৬/২০২৩ তারিখ রাত ০৪.০০ ঘটিকার সময় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), নারায়নগঞ্জ হইতে গ্রেফতার করেন।