জেলা ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানাধীন মৌজা রসুলপুর মধ্যে জে,এল, নং-৪ এর বি, আর, এস- ২০৮৬ নং খতিয়ানে ১০৫৮২ দাগে ১৯ শতাংশ, ১০৫৮৩ দাগে ১৬ শতাংশ, ১০৫৮৬ দাগে ১০ শতাংশ, ১০৫৮৮ দাগে ৫ শতাংশ, ১০৫৯০ দাগে ১৮ শতাংশ, ১০৫৯৪ দাগে ০৬ শতাংশ একুনে ৭৪ শতাংশ ভূমি শাহিদার একক নামে বি, আর, এস রেকর্ড হইয়া চূড়ান্ত ভাবে প্রচারিত হইয়াছে। শাহিদা খাতুন বিগত ৯৫৩৩/১৯৮৮ নং এওয়াজ বদল দলিল মূলে আঃ মান্নান,পিতামৃত-ইন্তাজ আলী মন্ডল বরাবরে ০৩ শতাংশ ভূমি হস্তাস্তর করেন। শাহিদা ৮১৭০/১৯৮৯ নং সাফ কাওলা দলিল মূলে হাল-১০৫৮৬ নং দাগে ০১ শতাংশ ভূমি আঃ মান্নান বরাবরে আবারও বিক্রয় করেন। তাই ২টি দলিল মূলে শাহিদা খাতুন জাঃ মন্নান বরাবরে ০৪ শতাংশ ভূমি হাল-১০৫৮৬ নং দাগে হস্তান্তর করেন।
সুত্র জানায়, জনৈক আফাজ উদ্দিন, পিতামৃত-আঃ সেক ৩৭৬৭/১৯৯১ নং সাফ কাওলা দলিল মূলে আঃ মান্নান বরাবরে ১০৫৮৬ নং দাগে মালিকানা বিহীন ০৩ শতাংশ ভূমি বিক্রয় করেন। আফাজ উদ্দিন ৭২৩২/১৯৯১ নং সাফ কাওলা দলিল মূলে রফিকুল ইসলাম বরাবরে ১০৫৮৬ দাগে ০১ শতাংশ ভূমি হস্তান্তর করেন। কিন্তু আঃ মান্নান এবং রফিকুল ইসলাম ১০৫৮৬ দাগে কোন দখল প্রাপ্ত হন নাই। ১০৫৮৬ দাগে আফাজ উদ্দিনের কোন মালিকানা বা স্বত্ব দখল ছিলনা। শাহিদা জানান, আঃ মান্নান বরাবরে ৯৫৩৩ নং ও ৮১৭০ নং ২টি দলিলে হস্তান্তরিত ০৪ শতাংশ ভূমি ১০৫৮৬ দাগে হস্তানর করেন এতে শাহিদার বৈধ মালিকানা বিদ্যমান।
সুত্র আরো জানায়, আঃ মান্নান বিগত ৩০/৯/২০১৮ ইং তারিখ সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রিকৃত ৩৭১০ নং হেবার ঘোষনা দলিল মূলে তার পুত্র সাইফুল ইসলাম ০২ শতাংশ ভূমি, রফিকুল ইসলাম ০২ শতাংশ, শফিকুল ইসলাম ০২ শতাংশ,আমিরুল ইসলাম ০২- শতাংশ, আরিফুল ইসলাম ০২ শতাংশ ভূমি মোট ০৯ শতাংশ ভূমি হস্তান্তর করেন। উক্ত হেবা দলিলের তপছিলে ১১ নং দফার বি,আর,এস খতিয়ান ২০৮৬ ও ১৭০২ নং উল্লেখ করিয়া সাবেক দাগ ৪৪০১ বি, আর, এস-১০৫৮৬ দাগে ০১ শতাংশ, এস, এ, দাগ ৪৪০১,বি,আর,এস-১০৫৮৮ দাগে ০৪ শতাংশ এবং এস, এ-৪৪০১ দাগ, বি, আর,এস ১০৫৮৭ দাগে শ্রেণী কান্দা মোট ০৩ শতাংশ একুনে ০৯ শতাংশ ভূমি উল্লেখ করিয়াছেন। তবে শাহিদার স্বত্ত্ব দখলীয় ১০৫৮৬ দাগের বদলে উক্ত দলিলে বি,আর,এস-১০৫৮৮ দাগ উল্লেখে ০৪ শতাংশ ভূমি দলিল রেজিষ্ট্রি হলেও বি,আর, এস-১০৫৮৮ দাগের কোন জমি শাহিদা কখনো আঃ মান্নান এর বরাবরে বিক্রি করেন নাই। ইহা ছাড়া আফাজ উদ্দিন বাদীর পিতা ১০৫৮৭ দাগে কোন ভূমি আঃ মান্নান বরাবরে হস্তান্তর করেন নাই।
জানা যায়, আফাজ উদ্দিন মারা গেছেন। ইতিমধ্যে আঃ মান্নান মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা দুজনই বিগত ইং-২২/০৪/২০২২ তারিখ শাহিদার ১০৫৮৮ দাগে অবস্থিত মার্কেটের বিল্ডিং তাহাদের বরাবরে বিক্রি করা হয়েছে মর্মে দাবী করলে শাহিদা তৎক্ষনাৎ প্রতিবাদ করেন এবং তাহার পুত্র আঃ মোতালেবকে মিয়া গফরগাঁও এম, আর, অফিসে গিয়া তালাশ-অনুসন্ধানে জানিতে পারেন যে, ৩১/১০/১৯৮৮ইং তারিখ ১৫৩৩ নং দলিল এবং ১২/৯/১৯৮৯ইং তারিখ ৮১৭০ নং দলিল এবং আফাজ উদ্দিন কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত ৭২৩২ ও ৩৭৬৭ এই মোট ৪টি দলিলের ভলিয়্যূম এই আসামীগনের সাহায্য-সহযোগিতায় পক্ষাশ্রিত করিয়া ৪টি দলিলের ভলিয়াম কাটা ছেড়া করিয়া ১০৫৮৬ নং দাগের বদলে ১০৫৮৮ দাগ এবং ১০৫৮৭ দাগে অন্তর্ভূক্ত করিয়াছে।
বর্তমান সন্ত্রাসীরা শাহিদা খাতুনের নামীয় ২টি দলিল সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রিকৃত এবং তাহার পিতা কর্তৃক সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রিকৃত ২টি দলিল যাহা তপছিলে উল্লেখ করা হইলে উক্ত ৪টি দলিলের ভলিয়াম বে-আইনী ভাবে কর্তন করিয়া জাল-জালিয়াতি করিয়া সরকারী অফিসে সংরক্ষিত দলিলের ভলিয়াম এবং ইনডেক্স কর্তন করিয়া জাল করিয়াছেন বলে শাহিদা অভিযোগ করেন।
শাহিদা জানান, সরকারী দলিলের রেজিঃ ভলিয়্যূম এবং ইনডেক্স জাল জালিয়াতি করিয়া প্রতারনা মূলক ভাবে বাদীর ২ কোটি টাকার সম্পদ একই উদ্দেশ্যে বাদীকে ঠকাইয়াছেন এবং সরকারী রেজিস্ট্রারে জালিয়াতি কার্য সংগঠিত করিয়াছেন।