ক্ষণিকের দেহের তৃষ্ণা, জৈবিক ক্ষুধার তাড়নায় কয়েক মিনিটের যৌন কামনা ও বাসনা তারই ফলস্বরূপ মাতৃগর্ভে ভ্রুণের সৃষ্টি। আস্তে আস্তে মাংসপিন্ড,রক্ত সঞ্চালন, হৃদস্পন্দন । এভাবেই ক্রমান্বয়ে বেড়ে উঠে একটি নিষ্পাপ শিশু। মাতৃগর্ভে শিশুটি নিজ ইচ্ছায় আসেনি বা সম্ভবও নয়। বলছি ১ম রমজান ২০২৩ সকালের কথা। আনুমানিক সকাল ৮:০০ টায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নের একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার পরানগঞ্জ বাজার । পরিচিত একজনের সাথে হঠাৎই দেখা বলল, ঘটনা কি জানেন? আমি শুনে হতভাগ কিসের ঘটনা? প্রতিউত্তরে সে বলল, পরানগঞ্জ বাজার এবং বোররচর চলাচলের জন্য যে ব্রিজ (মানিকডোবা সেতু) এ ব্রিজের পাশেই একটি নিষ্পাপ ফুটফুটে শিশু বাচ্চাকে ফেলে রাখা হয়েছে। শুনে ডান বাম না তাকিয়ে খুব দ্রুত চলে গেলাম ঘটনাস্থলে, বাচ্চাটিকে দেখার পর মনের ভিতর কি এক অনুভূতি কাজ করেছে তা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। সাত থেকে আট মাসের একটি ফুটফুটে ছেলে বাচ্চা, হয়তোবা জীবিতই মায়ের গর্ভ থেকে এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে আগমন করেছিল। নিষ্পাপ শিশু বাচ্চাটা কি জানতো যে, পৃথিবীর আলো বাতাস দেখার পূর্বেই এই নিষ্ঠুর পৃথিবী ছেড়ে তাকে চলে যেতে হবে!!!! কি অপরাধ ছিল তার ???? কোন দোষে তাকে এভাবে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হলো??? কি উত্তর আছে জাতির কাছে? জানি কোন উত্তর নেই। সমাজের ভয়ে? পরিবারের ভয়ে? নাকি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয়ে? এতো ভয় মনের ভিতর কাজ করলো একবারের জন্যেও পরকালের ভয় মনে আসে নি??