স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ব্যবসায়ীর ১২ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদেরকে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। ছিনতাইয়ের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ এই উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। এদের মধ্যে দুইজন আদালতের কাছে স্বিকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা বুধবার বিকালে তার কার্যালয়ে এক প্রস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, হালুয়াঘাটের নাগলা বাজারের মনোহারি বষবসায়ী ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের যোঠাতো ভাই ও দোকান কর্মচারী মিজবাহুল ইসলামকে গত ২৭ মার্চ সকালে ১২ লাখ টাকা ধারা বাজার রুপালী ব্যাংক লিমিটেডে জমা দিতে পাঠায়। মিজবাহুল নাগলা বাজার থেকে ১২ লাখ টাকাসহ অন্যান্য যাত্রীদের সাথে মাহিন্দ্র গাড়ীতে উঠে ব্যাংকের উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
এদিকে ঐ মাহিন্দ্র গাড়িতে আগে থেকেই এক ডাকাত দেশীয় অস্ত্র চাকু ছুরি নিয়ে উৎপেতে বসে ছিল। এছাড়া আরো অজ্ঞাতনামা ৬/৭ ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশরে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে মাহিন্দ্রর আশপাশে অপেক্ষা করতে থাকে। কিছু দুর যাওয়া মাত্র ডাকাতদল মাহিন্দ্র গাড়ি থামিয়ে চার পাশ ঘেরাও করে ধরে ডাকাতরা চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র যারা ভীতি প্রদর্শন করে তার হাতে চটের ব্যাগে থাকা ১২ লাখ টাকা লুটে নেওয়ার চেষ্টাকালে মিজবাহুল বাধা দেয়। এ সময় গাড়িতে চাপাতি হাতে থাকা অজ্ঞাত ডাকাত তাকে এলোপাথারী কুপিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে ডাকাতরা চলে যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন আসামীর বিরুদ্ধে হালুয়াঘাট থানায় মামলা নং ২১ তারিখ- ২৮/০৩/২৩ ধারা ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড মামলা হয়েছে। পুলিশ সুপার আরো বলেন, ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হালুয়াঘাট থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১২ ঘন্টার মধ্যেই ডাকাতির সাথে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো, মো: ইলিয়াছ, রফিকুল ইসলাম, মোঃ ফাহিম, মোঃ রিপন মিয়া ও আরাফাত হোসেন আকাশ। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির ৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা, মোবাইল, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার আদালতে পাঠানো হলে রিপন মিয়া ও আরাফাত হোসেন আকাশ ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেন। অন্যদেরকে রিমান্ড আবেদন সহ আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশ সুপার আরো বলেন, এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের তথ্য মতে, এই ডাকাতির ঘটনায় আরো তিনজন জড়িত রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার এবং লুন্ঠিত আরো টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাল্গুনী নন্দী, মোহাইমিনুর রশিদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।