নেত্রকোণা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) এর মাদক চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে চোরাকারবারীদের সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণে বিজিবি টহল দলের একজন সদস্য গুরুতর আহত এবং আক্রমণকারী চোরাকারবারী নিহত হয়।
নেত্রকোণা জেলার বারমারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ হতে ভারতে সুপারি পাচার এবং এর বিনিময়ে মাদক আসার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৩১ মার্চ ২০২৩ তারিখ রাতে নেত্রকোণা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) এর অধীনস্থ বারমারী বিওপি হতে হাবিলদার মোঃ মিনহাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টহল দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছিল। এ সময় সীমান্ত পিলার ১১৬৪/৮-এস ও ৯-এস এর মধ্যবর্তী সীমান্ত হতে ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লক্ষীপুর নামক স্থানে আনুমানিক রাত ২০৩০ ঘটিকায় সংঘবদ্ধ একটি চোরাকারবারী দল বাংলাদেশ হতে সুপারি মাথায় করে অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রাক্কালে বিজিবির টহল দল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা অতর্কিত দেশীয় অস্ত্র, দা, লাঠি-সোঠা দিয়ে টহলরত বিজিবি সদস্যদের উপর আক্রমণ করে। আক্রমণের এক পর্যায়ে টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ মিনহাজ উদ্দিনকে চোরাকারবারীদের একজন দা দিয়ে কয়েকটি কোপ দিলে সে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ সময় জখম অবস্থায় হাবিলদার মিনহাজ আত্মরক্ষার্থে ০২ রাউন্ড ফায়ার করলে বর্ণিত আঘাতকারী চোরাকারবারী জনৈক মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং অপর একজন চোরাকারবারী জনৈক জায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে তাদের চিকিৎসার জন্য দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ আমিনুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করে। গুরুতর আহত বিজিবি সদস্য হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিনকে দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও টহল দলের সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত অন্যান্য সদস্যদের দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনাস্থল হতে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা ০৭ বস্তা সুপারি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।