৩১ জুলাই রাত অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন দারুস সালাম থানা এলাকা হতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সাইফুল ইসলাম@ সইফুল (৪৫)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪ এর আভিযানিক দল।
ফুলবাড়ীয়া থানাধীন হুরবাড়ী গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল আউয়াল এর সাথে মামলার বাদী মোঃ শহিদুল্লাহ এর বোন মনোয়ারার বিয়ে হয়। বিয়ের অনুমান ০২ বছর পর ৭/৮ মাসের গর্ভবর্তী মনোয়ারাকে যৌতুকের দাবীতে গত ১১ ডিসেম্বর/১৯৯৪ রাত্রী অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় নিহতের স্বামী আব্দুল আউয়াল, আউয়াল এর বোন শামছুন্নাহার, হাফেজা খাতুন এবং আউয়ালের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম @ সইফুল পরস্পর যোগসাজসে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নারকীয়ভাবে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিমের মুখে বিষ প্রয়োগ করে এটিকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ভিটিমের ভাই মোঃ শহিদুল্লাহর বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামী সাইফুল ইসলাম@ সইফুল (৪৫) সহ এজাহারনামীয় সকল আসামীর বিরুদ্ধে দঃ বিঃ ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলায় সকল আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। ঘটনার পর হতে গ্রেফতারকৃত আসামী সাইফুল ইসলাম @ সইফুল দীর্ঘ ২৭ (সাতাশ) বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের পরিচয় গোপন করে গাঁ ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিল। উক্ত আসামীকে র্যাব-১৪, সিপিএসসি, টিটিসি, ময়মনসিংহ এর বিশেষ গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার দারুস সালাম থানা এলাকা হতে সনাক্ত করে অদ্য ৩১ জুলাই ২০২২ তারিখ অনুমান রাত ০২.৩০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে ফুলবাড়ীয়া থানা, ময়মনসিংহে হস্তান্তর করা হয়।