বাংলাদেশ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সব ধরনের ফ্লাইট ও যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইতালি। এবার দেশটির সরকার জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। অর্থাৎ পরদিন ১ আগস্ট থেকেই ইতালি যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
ইতালির সংসদে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরানজা মঙ্গলবার এ কথা জানান।
খবরটি প্রকাশ করেছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ইতালি সরকারের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম ৩১ জুলাই পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এসব কার্যক্রমের মধ্যে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে ১৩টি দেশে অবস্থানরত নাগরিকদের ইতালিদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ ১৩টি দেশ হলো— বাংলাদেশ, আর্মেনিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, বসনিয়া ও হারজোগোভিনা, চিলি, কুয়েত, উত্তর মেসিডোনিয়া, মলডোভা, ওমান, পানামা, পেরু ও ডমিনিকান রিপাবলিক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এসব দেশ থেকে আসা ও এসব দেশের পথে ইতালি থেকে সব সরাসরি ও সংযুক্ত ফ্লাইট স্থগিত থাকবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্যউপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা সার্বক্ষণিক হালনাগাদ করা হবে। এছাড়া নন-ইউরোপীয় ও নন-শেনজেন দেশ থেকে আসা প্রতিটি ব্যক্তির জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করা হবে।
কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ থেকে সব ফ্লাইট ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ করে দেয় ইতালি। তখন কাতার এয়ারওয়েজের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, ইতালির সরকারের অনুরোধে ইতালিগামী যাত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যা জুলাইয়ের ৮ তারিখ থেকে অক্টোবরের ৫ তারিখ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশে থেকে কোনো যাত্রী ইতালি যেতে পারবে না এবং কোনো ট্রানজিট ফ্লাইটেও যাত্রী ইতালি যেতে পারবে না, যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন।
সম্প্রতি ঢাকা থেকে রোমে যাওয়া বেশ কিছু যাত্রীর শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর বাংলাদেশ থেকে রোমগামী ফ্লাইটের ওপর এক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরানজা।