তাবৎ পৃথিবী কাঁপানো মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করছে ইসরাইল। গত ৩০ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) করোনাকে ‘বিশ্বব্যাপী আপৎকালীন পরিস্থিতি’ ঘোষণার দিন থেকেই ইসরাইল চীনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কয়েক দিনের ব্যবধানে এশিয়ার সংক্রমিত অন্য দেশগুলির সঙ্গেও বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় দেশটি। বিভিন্ন দেশ করোনা সংক্রমণ রুখতে নানা রাস্তা বেছে নিয়েছে। লকডাউন ও পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করে এই অতিমারির মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে ইসরাইল। কেমন সেই প্রযুক্তি?
মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে করোনা-সংক্রমিত ব্যক্তিদের বর্তমান অবস্থা এবং গত ১৪ দিনে তাদের ভৌগোলিক অবস্থান ও গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করতে থাকে যাতে মানুষজন সচেতন হয় এবং সংক্রমণের হার
কমানো সম্ভব হয়। ১৪ মার্চ ইসরাইল সরকার ‘ট্র্যাক ভাইরাস’ নামে একটি অ্যাপের কথা ঘোষণা করে, যেটাতে সংক্রমিত ব্যক্তিদের অবস্থান দেখানো হবে। এই অ্যাপ যে কোনও ইসরায়েলী তাঁর মোবাইল ফোনে রাখতে পারেন। অ্যাপটি ‘ইনস্টল’ করার সঙ্গে সঙ্গে ফোন ব্যবহারকারীর গতিবিধির উপরে নজর রাখা হবে। এই ব্যক্তি যদি নিজের অজান্তে কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির আশপাশে আসেন তা হলে তখনই তাঁকে সতর্ক বার্তা এবং কোয়রান্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। এই ধরনের প্রযুক্তির সাহায্যেই বিভিন্ন দেশ আততায়ীদের ফোন ট্র্যাক করে ও তাদের শ্রীঘরে পাঠায়। এই প্রযুক্তির সাহায্যে এখানে সংক্রমিত ব্যক্তিদের ট্র্যাক করে তাঁদের সংক্রমণ ধরা পড়ার আগের দু’সপ্তাহ ধরে তাঁরা যে সমস্ত মানুষের সংস্পর্শে এসেছিল তাদের খুঁজে বার করা হচ্ছে এবং তাঁদের কোয়রান্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং বিরোধীরা এই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হলেও আমার মনে হয়েছে, আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য এই প্রযুক্তি যথেষ্ট কাজে দিয়েছে। ১৭ মার্চ থেকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এর সাহায্যে এক দিনে ৪০০ জনকে কোয়রান্টিন করা হয়েছে।
ইউরোপের কিছু দেশ বা আমেরিকার মতো আমাদের ছবিটা এখনও ততটা ভয়ঙ্কর নয়। কিন্তু দুশ্চিন্তা থাকছেই। আজকেই ফ্রিজ থেকে একটা আপেল খেতে গিয়ে দেখি, তাতে ‘ইম্পোর্টেড ফ্রম ইটালি’ ছাপ মারা। কামড় না-বসিয়ে ফ্রিজেই আবার ঢুকিয়ে রেখে দিলাম সেটা।