স্টাফ রিপোর্টার :: “পুলিশ জনতার বন্ধু” “ডিউটি আর ডিউটি” ছুটি কম, বেতন/ভাতা কম, কাজ বেশী। দিন/রাত আমাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত তাঁরা। কোন সময় দায়িত্বে অবহেলা করেন না বরং থাকতে হয় চৌকান্ন।
এরই ধারাবাহিকতায় আবারো তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে সফলতা অর্জন করলো ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার এএসআই আমির হামজা। নিরলস ভাবে একের পর এক মোবাইল ফোন উদ্ধার করেই চলছে। ইতিমধ্যে ময়মনসিংহবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। ময়মনসিংহে মোবাইল ফোন চুরদের আতংকের নাম এএসআই আমির হামজা।
স্থানীয় লোক মুখে শোনা যায়ঃ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার) কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই কোতোয়ালী মডেল থানাকে আধুনিকায়ন, ডিজিটাল সিস্টেমে পরিচালনাসহ উক্ত থানার সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এদিকে ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ বিটপুলিশিং কার্যক্রমে কোতোয়ালী মডেল থানার প্রতিটি জায়গায় সফলতা এনে দিয়েছেন। স্থানীয় জনগণ মনে করেন ওসি হলে এমনি হওয়া উচিৎ। তিনি সাদামাটা সকল শ্রেণিপেশার মানুষজনের সাথে মন খুলে কথা বলেন। সকলের অবস্থা ভালো করে শুনে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন।
একদিন আমি সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া পলাশ একটি অভিযোগপত্র নিয়ে তিনার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে জানলাম কোতোয়ালী মডেল থানায় তিনার আগে এমন ওসি এসেছে বলে মনে হয় না। তিনি সুন্দর করে বাদীর কথা গুলি শুনে তদনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। তখনি উনার প্রতি আমার বুকভরা ভালবাসা জন্মে গেল। মনে হলো কোতোয়ালীবাসীর অভিভাবক তিনি।
যে কোন মামলার সঠিক তদন্ত করে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি দায়িত্ব হাতে নেয়ার পর থেকে আমার জানা মতে কয়েকটি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ সকল আসামিদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে পেরন করেছেন। এমন নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে প্রশংসায় ভাসছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, পত্র পত্রিকার পাতায়, বিভিন্ন মিডিয়া ও ময়মনসিংহবাসীর মূখে মূখে।
যেমন ধরেন কোতোয়ালী মডেল থানায় মোবাইল হারানো বা চুরি যাওয়া জিডি আসলেই উদ্ধারে ওসি শাহ্ কামাল আকন্দের নির্দেশে ছুটে চলেন এএসআই আমির হামজাসহ কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার) এর নির্দেশে কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই আমির হামজা নিয়মিত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করে যাচ্ছে।
কোতোয়ালী মডেল থানায় হারানো, চুরি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন এর জিডি করেন ভুক্তভোগীগণ তখনি ভুক্তভোগীগণের জিডি মোতাবেক মোবাইল ফোন উদ্ধারের দায়িত্ব দেয়া হয় এএসআই আমির হামজাকে। জিডি মোতাবেক মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এএসআই আমির হামজা। পরে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
আমরা অতি প্রয়োজনীয় জিনিস মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে থাকি। শখের জিনিস দামী মোবাইল ফোনটি কোন এক সময় ভূলে বা হারিয়ে ফেলি কিংবা চুরি বা ছিনতাই হয়ে যায়। যখনি কোন জায়গায় খুঁজে না পাই তখন দিশেহারা হয়ে পরি তখন বাংলাদেশ পুলিশে কর্মকর্তাগণ তাঁদের প্রচেষ্টায় খুঁজে বের করে দেয় আমাদের হাতে। যখনি মোবাইল ফোনটি হাতে পাই তখন কতইনা খুশি হই।
স্যালুট বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে, স্যালুট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দকে, স্যালুট এ এসআই আমির হামজাকে। আজ তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টায় আমাদের খুয়ে যাওয়া জিনিস গুলি উদ্ধার করতে গিয়ে কতইনা কষ্ট ও শ্রম দিতে হয় তাঁদের।
এরই অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকা থেকে কিছুদিন আগে ৩টি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে কোতোয়ালী মডেল থানায় জিডি করেন ভুক্তভোগীগণ। ভুক্তভোগীগণ হলো ময়মনসিংহ সিটির ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, মোহাম্মদ মহসিন মিয়া ও রাজন আহমেদ।
উক্ত জিডি গুলো হাতে পাওয়ার পর কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার) এর নির্দেশে এএস আই আমির হামজাকে দ্বায়িত্ব প্রদান করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মোবাইল গুলো উদ্ধার করে এএসআই আমির হামজা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই ২০২২) তারিখ উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন ২টি প্রকৃত মালিক ময়মনসিংহ সিটি কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, মোহাম্মদ মহসিন মিয়া ও রাজন আহমেদের কাছে হস্তান্তর করেন ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার) ও এএসআই আমির হামজা।
এ বিষয়ে এএসআই আমির হামজার কাছে জানতে চাই আপনি একজন দক্ষ পুলিশ অফিসার। আপনার কাজে ময়মনসিংহবাসী চিরকৃতজ্ঞ। তিনি তখন বলেন এ কৃতিত্ব আমার নয় বরং ওসি স্যারের। আজ উনি আছেন বলেই কাজে সাহস পাই। তিনি আমাদের শুধু স্যার নয় বরং তিনি আমাদের অভিভাবক।
এদিকে ভুক্তভোগীণন মোবাইল গুলো হাতে পাওয়ার পর ওসি মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ ও এএসআই আমির হামজা’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এমন সেবার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের সফলতা কামনা করেন।