ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এলপিজির নতুন এ দর আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ৫৫ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে। এ ছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১০৯ টাকা ৭২ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।
পাশাপাশি ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম মূসকসহ প্রতি লিটারের মূল্য ৬২ টাকা ৫৩ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।
এর আগে, গত মে মাসে ভোক্তাপর্যায়ে কমানো হয় এলপিজির দাম। সেবার ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪৯ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
একই সঙ্গে অটোগ্যাসের দামও কমায় বিইআরসি। ফেব্রুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয় ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা।
২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো।
এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।